আগামী সপ্তাহে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরতে পারেন করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল জানিয়ে এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমি আজ ম্যাডামকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তার অবস্থা স্থিতিশীল আছে।’
তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের সবগুলো পরীক্ষা শেষে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা পর্যালোচনা করবেন। এরপর তাকে বাসায় আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। আমরা আশা করি, আগামী সপ্তাহ নাগাদ বাসায় ফিরতে পারবেন তিনি।’
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও হাঁটুর প্রতিস্থাপনের চিকিৎসা চলছে। তার অনেকগুলো পরীক্ষা করতে হচ্ছে। যার মধ্যে কিছু পরীক্ষা করতে এবং রিপোর্ট পেতে একদিনের বেশি সময় লাগছে। তাই তার সবগুলো পরীক্ষা শেষে হতে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত সময় লাগবে। এরপর মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা বৈঠক বসবেন সবগুলো পরীক্ষা রিপোর্ট পর্যালোচনা করতে। এরপর আগামী রবি-সোমবার তাকে বাসায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এর আগে বুধবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা খুবই ভালো। উনার আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার সেজন্য আজকে রাতে হাসপাতালে থাকবেন তিনি। করোনার কোনো জটিলতা তৈরি হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, কোনো জটিলতা নেই।’
গত ১৪ এপ্রিল রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়। তারপর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বলেন, সিটি স্ক্যানে খালেদা জিয়ার ফুসফুসে খুবই সামান্য সংক্রমণ হয়েছে। যা সত্যিকার অর্থে মাইল্ড পর্যায়েও পড়ে না। তাই খালেদা জিয়ার আগের ওষুধের সঙ্গে নতুন ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক যুক্ত করা হয়।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।